মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। অদম্য ইচ্ছাশক্তি এগিয়ে নিতে পারে বহুদূর। আর সেই ইচ্ছে শক্তিতেই এগিয়ে চলেছেন মানিক রহমান। দুই হাত নেই তাঁর। তবুও থেমে যাননি তিনি। চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পেয়েছেন গোল্ডেন এ প্লাস। স্বপ্নবাজ এ তরুণ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে কাজ করতে চান দেশের জন্য।
এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে নীলফামারী সৈয়দপুরের ১৪টি কলেজের মধ্যে ১২টি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৯৩৩, ব্যবসায় শিক্ষায় ৪৭ এবং মানবিক বিভাগে ১১৭ জন। আর তিনটি কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তামিম সিফাতুল্লাহ মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। পরে রাশিয়ান শীর্ষস্থানীয় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজিস, মেকানিকস অ্যান্ড অপটিকসে (আইটিএমও) সরকারি বৃত্তি পান।
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে ৯টি সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজারের বেশি। ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৫ জন। সব মিলিয়ে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বর্তমান বোর্ড সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে। জিপিএ-৫ না পাওয়ার পরও প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে
যমজ দুই ভাই আবদুল রহিম শাওন ও আবদুল করিম শান্ত। দুজনকে একসঙ্গে দেখলে পরখ করার উপায় নেই কয়েক মিনিটের ছোট-বড় কে। হুবহু দেখতে দুই ভাইকে নিয়ে প্রায়ই বিব্রত হন শিক্ষকসহ সহপাঠীরা। হঠাৎ দেখলে চিনতে পারেন না শাওন নাকি শান্ত। একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছে তারা। সবাইকে অবাক করে দিয়ে একই নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে যম
সামিয়া আক্তার। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। সামিয়ার বাবা একজন ভ্যানচালক। মা অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। মেয়ের ভালো ফলের খবর পেয়ে দরিদ্র বাবার মুখে গর্বের হাসি আর চোখে আনন্দ-অশ্রু।
মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে আজ আনন্দের জোয়ার। কিন্তু সন্তানের এমন ভালো ফলাফলের খবরে বাবা-মায়ের যন্ত্রণা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যার এই অর্জন, সেই সন্তানই আর পৃথিবীতে নেই। মেয়ের ছবি জড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছেন মা। নির্বাক ভঙ্গিতে.
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন, ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।
এইচএসসি পরীক্ষায় পাবনা ক্যাডেট কলেজের ৫৫ জন শিক্ষার্থীর সবাই সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলাফলে বরাবরের মতো এবারও সাফল্য অর্জন করেছে কলেজটি।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলা থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৭৭ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৪২৬ জন। এ বছর প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী জিপিএ–৫ ও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। এই শিক্ষাবোর্ডে মেয়ে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ। ছেলে পাস করেছে
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ রোববার প্রকাশিত হয়েছে। এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা সারজানা আক্তার লিমানাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক। সম্প্রতি লিমানার হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল।
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শিক্ষার্থী ছাইদুল সরদার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের চিন্তায় বাবা-মায়ের চোখমুখেও হতাশার ছায়া।
চলতি বছরেও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর (২০২২ সাল) পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ফলাফলে এবারও এগিয়ে মেয়েরা। সাধারণ গণিতে বিপর্যয়ের প্রভাবে কমেছে পাসের হার।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭৭ শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়টির এই ধারাবাহিক সাফল্যে আনন্দিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস ও জিপিএ ফাইভ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। এবার মেয়েদের পাসের হার ৮১.৮৮ শতাংশ এবং ছেলেদের ৭৮.৮৭ শতাংশ। গত বছর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৮৭.১৬ শতাংশ আর মেয়েদের পাসের হার ছিল ৮৭.৭১ শতাংশ